অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক ঘণ্টার নোটিশে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল, সহজে ব্যবসা করার (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস) সূচক নিয়ে ব্রিফিং করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই ব্রিফিং করেনও তিনি। কিন্তু ওই সূচক নিয়ে অর্থমন্ত্রী একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তাঁর আজকের পুরো ব্রিফিং ছিল গতকাল জাতীয় সংসদে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত তহবিলের একাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেওয়ার ব্যাপারে উত্থাপিত বিলের ওপর বিরোধী দলের সাংসদদের সমালোচনার জবাব দেওয়া। ওই জবাব তিনি অবশ্য গতকালও সংসদে দিয়েছিলেন।
বিরোধী দলের সাংসদদের প্রতি ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভালো কাজগুলো তাঁরা পছন্দ করেন না। সংসদে গতকাল তাঁরা যেভাবে কথা বলেছেন, এগুলো গণতান্ত্রিক ভাষা না। একজন বলেছেন, আমি ব্যবসায়ী মন্ত্রী, ভালো ছাত্র ছিলাম। ব্যবসায়ী ছিলাম এটা ঠিক। পেশাগত পরিচয় ছিল আমার। অন্য ব্যবসাও ছিল। আমি সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদ (সিএ) ছিলাম। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানও সিএ ছিলেন। কিন্তু আমি ব্যবসায়ী ছিলাম ১২ বছর আগে। ব্যবসা করা তো অপরাধ না।’
সংসদে গতকাল মেজাজ হারানোর কথা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কখনোই তা হারাই না। গতকাল সামান্য সময়ের জন্য তা হারিয়েছিলাম। আমি যে সারা বিশ্বের অর্থমন্ত্রীদের সেরা এটা তাঁরা একবারও বলেননি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, বুধবারের সংসদ আলোচনায় একটি বিষয়ই ওঠে আসে যে ব্যাংক খাতের দুর্বল অবস্থা এবং অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে। পরিমাণও দিয়ে দিলেন তাঁরা! সংসদে এভাবে বললে দেশবাসী বিশ্বাস করেন। আমার প্রশ্ন, এত অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে, কীভাবে জানলেন?’
গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস গ্রুপের মাসিক ম্যাগাজিন দ্য ব্যাংকারের ‘ফাইন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ইয়ার ফর এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ হন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। https://www.prothomalo.com/economy/article/1633502/
তিনি এ স্বীকৃতিকে পুরো জাতির অর্জন বলে মন্তব্য করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি পুরস্কৃত হয়েছি। আসলে আমি তো পুরস্কৃত হইনি, পুরস্কৃত হয়েছে পুরো জাতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সকল মানুষ, এটা সবার পুরস্কার। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেসব বিবেচনায় এ পুরস্কার।’