টিকেটিং ও পর্যটন ব্যবসার অন্যতম দিকপাল মাইনুল আহাদ শাওন ফ্লাই আহাদ এভিয়েশন এবং চিপ মাই ট্রিপ এভিয়েশন এর স্বত্বাধিকারী। ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় জন্মগ্রহনকারী এ তরুণ ব্যবসায়ীর পিতার নাম মইন উদ্দিন মুন্সী এবং মাতার নাম মাকসুদা বেগম। ২ বোনের কনিষ্ঠতম ভাই শাওন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন ভ্রমন প্রিয়। সুযোগ পেলেই ছুতে বেড়াতেন বন্ধুদের সাথে। ব্যসায়িকসহ বিভিন্ন কাজে ভ্রমন করেন দেশ বিদেশের অনেক পর্যটন স্পট। দেশের মানুষকে পর্যটন বান্ধব সেবা উপহার দিতে আগ্রহী মাইনুল আহাদ শাওন বাংলাদেশ পর্যটন খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে পর্যটন মেইল-এর সাথে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশটুকু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পর্যটন মেইল-এর সম্পাদক ও সিইও এমএম রহমাতুল্লাহ।
পর্যটন মেইল: শুরুর গল্পটা বলুন। কিভাবে আপনি এ পেশায় জড়িয়ে গেলেন?
মাইনুল আহাদ শাওন: এসএসসি পাশ করার পরে আমি আমার একজন আত্মীয়ের প্রতিষ্ঠানে একটি এজেন্সিতে জয়েন করি। পড়াশুনার পাশাপাশি তখন এ কাজে জড়িত হয়ে যাই। ডিপ্লোমা পাশ করার কিছুদিন পরে কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে যায় এবং আমিও দেশের বাহিরে চলে যাই। বিদেশ থেকে এসে আমার লব্ধ অভিজ্ঞতা এবং চেষ্টার ফলে চীপ মাই ট্রিপ এভিয়েশন -এর ব্যবসা শুরু করি। পরবর্তীতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হই এবং ফ্লাই আহাদ লিমিটেড-এর ব্যবসায় জড়িয়ে যাই।
পর্যটন মেইল: আপনার দৃষ্টিতে এদেশে পর্যটন ব্যবসার মূল সমস্যা কি?
মাইনুল আহাদ শাওন: ওভার অল, এদেশে পর্যটন ব্যবসা আগের চেয়ে অনেক ভালো। সরকারও অনেক এগিয়ে নিচ্ছে এ সেক্টরকে। তবে নিরাপত্তাগত কিছু ত্রুটি এবং প্রচার প্রসারের অভাব ছাড়াও পর্যটন স্পটগুলোর অবকাঠামোগত সমস্যা এবং প্রছন্নতার অভাব পর্যটন ব্যবসার মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
পর্যটন মেইল: টিকেটিং ব্যবসার ভবিষৎ কেমন?
মাইনুল আহাদ শাওন:বর্তমানে যেহেতু পর্যটন ব্যবসা অনেক ভাল। ভ্রমণের প্রতি মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশী ঝুঁকে পড়েছে। অন্যদিকে অনলাইন বিজনেসের কারনে টিকিটিং ব্যবসাতেও স্বচ্ছতা এসেছে। খুব সাধারণ মানুষ এখন যেকোন অবস্থান থেকে টিকেটিং বিজনেসের সাথে ইনভলভ হতে পারে।
পর্যটন মেইল: আটাব এবং টোয়াব থেকে আপনারা কী কী সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন?
মাইনুল আহাদ শাওন:তারা তাদের মত করে এসোসিয়েশনকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তবে তারা যেহেতু একটা রুলস এন্ড রেগুলেশনশন-এর মধ্যে আছেন। সো, ইচ্ছে থাকলেও তারা সবকিছু করতে পারেন না।
পর্যটন মেইল: বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এবং টুরিজম বোর্ডের কার্যক্রমকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মাইনুল আহাদ শাওন:সীমাবদ্ধতার মাঝেও বর্তমানে তাদের কার্যক্রম আগের চেয়ে ভাল। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের কার্যক্রমে অনেকটা স্বচ্ছতাও লক্ষ্যণীয়।
পর্যটন মেইল: পর্যটন স্পটগুলোর বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আপনি কি সন্তুষ্ট?
মাইনুল আহাদ শাওন:কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও সেটা মেনে নিয়েই তাদের কার্যক্রমে আমি সন্তুষ্ট।
পর্যটন মেইল: আপনাদের কি এমন বিশেষত্ব আছে যে, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে দেশীবিদেশি ক্লায়েন্ট আপনাদের বেছে নেবে?
মাইনুল আহাদ শাওন:আমি যখন একটি কাজ করব, আমাকে তার আগে অবশ্যি একটি বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। এর পাশাপাশি বর্তমান মার্কেট -এর অবস্থা আমাকে বিবেচনায় রাখতে হবে। এভাবে উভয় পক্ষের ক্ষমতার মাঝে প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে কাষ্টমারদের আকৃষ্ট করতে আমরা আমাদের পলিসি অনুযায়ী তাদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে তাদের আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করি।
পর্যটন মেইল: পর্যটন মেইলের ইয়াং পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন, স্টাডি শেষে তাদের কি করা উচিত? চাকরি নাকি ব্যবসা?
মাইনুল আহাদ শাওন:চাকুরী তো এখন অনেকটা টাফ। একটি পদের বিপরীতে অনেক প্রার্থী থাকে। সে হিসেবে একটু বেশী স্বাধীনতা নিয়ে নিজের শ্রম ও মেধার বলে যে কেউ একজন ভালো উদ্যোক্তা হতে পারেন।
পর্যটন মেইল: শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মাইনুল আহাদ শাওন:আপনাকেও ধন্যবাদ।