ব্রেক্সিটের সময় সীমা অবশেষে আবারো বাড়লো।এই মাসের ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিটের দিনক্ষন ধার্য্য রইলেও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সময়সীমা বৃদ্ধির অনুরোধকৃত চিঠির জবাবে এই সময় তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিচ্ছেদ সময় সীমা বাড়ানো হল।
গতকাল সোমবার ব্রাসলসে ইইউ কাউন্সিলের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশের সম্মতিতে ব্যেক্সিটের সময় আগামী ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ইইউ সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তারা প্রয়োজনে এই সময় সীমার আগেও ইইউ জোট ত্যাগ করতে পারে।
চুক্তিহীন ভাবে ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে মরিয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশেষে বৃটিশ পার্লামেন্টে চাপের মুখে নত স্বীকার করে এই সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন।
ইইউ কাউন্সিলের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক আজ ব্রাসেলসে আরও জানিয়েছেন, একটি বিশৃঙ্খলাপূর্ন ব্রেক্সিট ঠেকাতে ইইউ জোট বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এই আবেদন মেনে নিয়েছে ।প্রথমবার এই বিচ্ছেদের সময়সীমা ছিল এই বছরের ৩১ মার্চ।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এখন আগামী ১২ ডিসেম্বর একটি নতুন নির্বাচন করতে চান। এক্ষেত্রে তার প্রস্তাবের স্বপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। পার্লামেন্টে বরিস জনসনের টোরি দলের পক্ষে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকায় তাকে নতুন নির্বাচনের ক্ষেত্রে লেবার দলের সমর্থন পেতে হবে। লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন জানিয়েছেন ব্রেক্সিটের সময় সীমা বৃদ্ধির আবেদন করলে তার দল নতুন নির্বাচনের বিপক্ষে যাবে না। আজ সোমবার বৃটিশ পার্লামেন্টে নতুন করে পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটি সম্পৃর্ন হবার কথা রয়েছে।
২০১৬ সালের ২৩ জুন এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চার দশকের সম্পর্কচ্ছেদের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য আলাদা হবে বা পরবর্তীতে ইইউভুক্ত বাকি ২৭টি রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে, সেসব বিষয়গুলি এখনও ষ্পষ্ট হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটের বেঁধে দেওয়া সর্বশেষ সময় অনুযায়ী, বিচ্ছেদ প্রশ্নে যুক্তরাজ্য কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে আগামী ৩১ অক্টোবর চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট কার্যকর হবার কথা ছিল।