২০১০ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় গবেষক পিয়া মালহোত্র (Pia Malhotra) একটি প্রবন্ধ লেখেন,Water Issues between Nepal, India & Bangladesh নামে।
এতে তিনি বলেন,নদীর পানি বণ্টন সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে ভারতের রাজনৈতিক সমস্যা। ফলে নদীর পানি বণ্টন সমস্যা হয়ে উঠছে অনেক জটিল। নদীর পানিবণ্টন সমস্যা থাকছে কেবলই নদীর পানিবণ্টনে সীমাবদ্ধ। ভারতের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী বয়ে আসছে বাংলাদেশে। এরমধ্যে এক গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি ছাড়া আর কোন চুক্তি হতে পারেনি। কিন্তু এই চুক্তি ও বাস্তবে কতটা প্রয়োজ্য হতে পেরেছে,তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। মালহোত্র লিখেছিলেন, প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশী গিয়েছে ভারতের আসামে। তারা হয়ে উঠেছে আসামে একটা বড় সমস্যা। এই সমস্যা চাচ্ছে নদীর পানিবণ্টন সমস্যাকে জটিল করতে। আজ দশ বছর পরে তার অভিমত মনে হতে পারছে অনেক যথার্থ বলে।
ফেনী নদী ভারতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসেনি। তা কেবল বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহমান।নদীটি হিমালয়ের কোন বরফ গলা পানি বহন করেনা। বহন করে কেবল বৃষ্টির পানি। আর এই বৃষ্টির পানি হল বাংলাদেশের ভিতরের। ভারতের মাটি থেকে চুঁইয়ে আসা নয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই নদীর পানি ভারতকে দিতে রাজি হলেন।তিনি বলেছেন, ফেনী নদীর পানি তিনি ভারতকে দিতে সম্মত হয়েছেন মানবিক কারণে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে,মানবতা কেবল কি একপাক্ষিক ভাবে বাংলাদেশই দেখাবে, ভারত কি দেখাবেনা? এক পাক্ষিক মানবতা শেষ পর্যন্ত কতটুকু মূল্যবহ হবে বাংলাদেশের জন্য? বাংলাদেশ প্রতি সেকেন্ডে ফেনী নদী থেকে ৫০লিটার করে পানি নিতে দিবে। অর্থাৎ প্রতিদিন বা ২৪ ঘন্টায় ভারত ফেনীনদী থেকে পেতে পারবে ৪৩ লক্ষ ২০ হাজার লিটার পানি।
অনেকেই বলছেন, এরফলে ওই অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে ঘটবে সেচের পানির অভাব। বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ করেছিলেন এই চুক্তির প্রতিবাদ। ফলে তাঁকে খুন হতে হল। তাকে খুন করা হলো অত্যন্ত নিষ্ঠুর ভাবে। যা ক্ষুব্ধ করছে এদেশের জনমতকে।এর একটা বিরাট প্রভাব না পড়েই পারেনা দেশের রাজনীতির উপর। আমরা ভারতের প্রতি মানবতা দেখাবো, আর দেশে করব নিষ্ঠুর অমানবিক রাজনীতি, তাহতে পারে না।