আবদুল কুদ্দুস: সম্প্রতি ২৬ বিদেশি সাংবাদিক ঘুরে গেলেন কক্সবাজার। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছিলেন তাঁরা। সমুদ্র শহর কক্সবাজারে মারমেইড ইকো ট্যুরিজম ভিলেজ ঘুরে কথা বলছিলেন টু লু, ‘আমি অবশ্যই বলব, চমৎকার। বাংলাদেশ এ রকমই হওয়া উচিত’। তিনি ন্যাশনাল জিউগ্রাফিকের আলোকচিত্রী। তাঁর মতো কক্সবাজারে এসে বিদেশি সাংবাদিকেরা ঘুরেছেন সমুদ্রসৈকত, প্যাঁচার দ্বীপ এবং মারমেইড ইকো ট্যুরিজম ভিলেজ। প্রত্যেকের চোখেমুখে ছিল নতুন দেশ আর তার সৌন্দর্য দেখার উচ্ছ্বাস। টু লু বলছিলেন, ‘বাংলাদেশেও এমন জায়গা হয়! ’
প্যাঁচার দ্বীপে দারুণ সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। রিসার্টে পা রেখেই সোজা নেমেছেন সাগরে গা ভেজাতে। কেউ ছিলেন সৈকতে খেলাধুলা আর হই-হুল্লোড়ে ব্যস্ত। কেউ বেরিয়েছেন নৌ বিহারে।
প্যাঁচার দ্বীপের মারমেইড বিচ রিসোর্টের বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল চীনের সাংবাদিক জু লির সঙ্গে। উচ্ছ্বসিত এই নারী সাংবাদিক বলছিলেন, ‘দিস ইজ মাডার্ন বাংলাদেশ। দিস ইজ গোল্ডেন বাংলাদেশ।’
জু লি বললেন, ‘এটি বাংলাদেশের ব্যতিক্রম জায়গাগুলোর একটি। এর পরিবেশবান্ধব ও টেকসই থিম আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতের এই পথ অনুসরণ করা উচিত।’
জাপান, থাইল্যান্ড, চীন, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, দক্ষিণ কোরিয়া, লেবানন, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও স্পেন থেকে এসেছেন ২৬ সাংবাদিক। দলে আছেন কয়েকজন ট্যুর অপারেটরও।
১৩ এপ্রিল তাঁরা বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যেই কক্সবাজার ঘুরে যারপরনাই বিমোহিত তাঁরা। ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বালিয়াড়ি সৈকত ও উত্তাল জলরাশি দেখে তাঁরা মুগ্ধ। সম্প্রতি তারা গেছেন পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। ঢাকায় ফিরে তাঁরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন। ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘ প্রচার হলেই পর্যটক বাড়বে। এ জন্য আমরা ১০টি দেশের ২৬ জন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাঁরা বাংলাদেশে ভ্রমণ শেষে নিজ দেশে ফিরে গিয়ে তাঁদের সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে খবর প্রকাশ করবেন। এর মধ্য দিয়ে সেসব দেশে বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হবে। এর সুফল পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’ মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব পর্যটনের মাধ্যমে যদি আমরা উন্নয়ন ঘটাতে পারি, তাহলে সেটি হবে অনেক বেশি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন। আমরা সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের ইকো ট্যুরিজমের এই নিজস্বতা নিশ্চিতভাবে আমাদের দেশকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেবে।’