উল্লেখযোগ্য খবর
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত পরিবর্তন নেই স্টাফ রিপোর্টার (১০ মিনিট আগে) ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন mzamin facebook sharing button twitter sharing button skype sharing button telegram sharing button messenger sharing button viber sharing button whatsapp sharing button প্রবল আপত্তির মধ্যেই সম্প্রতি আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে সম্পাদক পরিষদ। এর মাধ্যমে এই আইনটি সম্পর্কে সম্পাদক পরিষদসহ সংবাদমাধ্যমের অংশীজন এত দিন যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছিলেন, সেটা যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন আইনে শাস্তি কিছুটা কমানো এবং কিছু ধারার সংস্কার করা হয়েছে। তাই শুধু খোলস পরিবর্তন ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনে গুণগত বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এই বিষয়গুলো খর্ব করার মতো অনেক উপাদান এ আইনে রয়েই গেছে। বুধবার পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতি করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে। কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি, বরং তা আগের মতোই রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করা হয়েছিল। শাস্তি কমিয়ে এই দুটি বিধান রেখে দেয়ায় এর অপপ্রয়োগ ও খেয়ালখুশিমতো ব্যবহারের সুযোগ থেকেই যাবে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনটি কার্যকর হলে আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী বিনা পরোয়ানায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তল্লাশি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভারসহ সবকিছু জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে পুলিশ। এর মাধ্যমে পুলিশকে কার্যত এক ধরনের ‘বিচারিক ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিজ্ঞাপন আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে। সাইবার-সংক্রান্ত মামলার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সম্পাদক পরিষদ চায়, ডিজিটাল বা সাইবার মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের শাস্তি হোক। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশির ভাগ ধারা সন্নিবেশিত থাকায় এই আইন কার্যকর হলে পূর্বের ন্যায় তা আবারও সাংবাদিক নির্যাতন এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার হিসেবে পরিণত হবে। তাই সাইবার নিরাপত্তা আইনকে নিবর্তনমূলক আইন বলা ছাড়া নতুন কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

পর্যটন শিল্পের বিকাশে করণীয়

সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম: বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। প্রচীনকাল থেকে মানুষ বিনোদন ও প্রকৃতির সৌন্দর্য পিয়াস মেটানোর জন্য রূপ সুগন্ধে ভরা নৈসর্গিক প্রকৃতিতে অবগাহন করছে। জীবনে বৈচিত্র্য আনয়নের লক্ষ্যে ভ্রমণে বের হয়েছে প্রকৃতির সৌন্দর্যে মিলেমিশে পর্যটনকে দান করছে একটি শিল্পরূপ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর ন্যায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশেও পর্যটনকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ দেশে পর্যটনের বহু উপকরণ থাকার পরও বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের পর্যটনকে উন্নত শিল্পরূপে গড়ে তোলা অদৃশ্য কারণে সম্ভব হয়ে উঠেনি। অথচ এই দেশে পর্যটনের সকল উপাদান প্রতিটি জেলায় বিদ্যমান। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক, ভৌগোলিক অবস্থানগত ও কৌশলগত কারণে পর্যটন শিল্পকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিনোদনমূলক শিল্পে পরিণত করা কঠিন কিছু নয়। প্রধানত অবকাঠামোগত পরিবর্তন সম্পন্ন করা গেলেই সারা বিশ্বের পর্যটকদের পদচারণায় এ স্বাধীন দেশ মুখরিত হয়ে উঠবে। যা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পরিচিত দ্রæতই ছড়িয়ে পড়বে। যুগ যুগ ধরে বিদেশী পর্যটকদের কাছে চিরসবুজ ঘেরা এক স্বপ্নের দেশ হিসেবে পরিচিত। সপ্তম শতকে প্রখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং বাংলাদেশে ভ্রমণে এসে এর সৌন্দর্যকে কুয়াশা ও পনি থেকে উন্মোচিত ঘুমন্ত সৌন্দর্য হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।
সভ্যতার একটি কেন্দ্র হিসেবে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে এই দেশে। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, কুমিল্লা, সিলেট, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, পাবনাসহ প্রতিটি জেলায় পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ। এদেশের পর্যটন শিল্প প্রতিষ্ঠিত ও বিকশিত না হওয়ার অন্যতম কারণগুলো যথাক্রমে পর্যটন স্থান ও স্থাপনাগুলো যথাযথ সংরক্ষণ না করা, সরকারি, বেসরকারি ও প্রাইভেট উদ্যোগের অপ্রতুল্যতা। দুর্বল অবকাঠামো, পর্যটন আকর্ষণে ব্যর্থতা, পর্যটকদের সুযোগ সুবিধার অভাব, পর্যটকদের বিভিন্ন কারণে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা, সর্বোপরি পর্যটন কর্পোরেশনের যুগোপযোগী কর্মপন্থা নির্ধারণের ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের অভাব। তার পরও এদেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে, আঞ্চলিক পর্যায়ে, দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রæত পরিবর্তনের জন্য, আন্তনির্ভরশীলতায় দেশকে পরিণত করার জন্য এই শিল্পকে বিকশিত করা অত্যাবশ্যক। বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান সৃষ্টিকারী অন্যতম খাত পর্যটন শিল্প নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব। পর্যটন হলো বাংলাদেশের প্রত্মতত্ত¡ সম্পদকে সংস্কার করার মধ্যদিয়ে আকর্ষণীয়, দৃষ্টিনন্দন পর্যটন গড়ে তোলা। এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ তাদের দেশের পর্যটন শিল্পকে কাজে লাগিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। নেপাল, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি দেশ উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে যা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে তার চেয়ে অধিক বৈদেশিক মুদ্রা আয় পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে দ্রæত সময়ে করা সম্ভব। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নতির সাথে সাথে যেসব ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত অবশ্যই হচ্ছে তা হলো ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বেকারত্ব দূরীকরণ, প্রাকৃতিক সম্পদের উন্নয়ন, কুঠির শিল্প, মৃৎ শিল্প ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বৈচিত্র্যময় অর্থনৈতিক কর্মকাÐ সৃষ্টি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সৃষ্টি, জাতীয় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, ভূমি উন্নয়নে সহায়তাসহ অনুকূল বাণিজ্যিক ভারসাম্য রক্ষা ইত্যাদি। অনেকগুলো কারণে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রত্যাশিত ও কাক্সিক্ষত অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে না।
পর্যটকের উন্নত সেবার জন্য দক্ষ ও মার্জিত জনবলের অভাব, উন্নত ও দ্রæত তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকরী ব্যবস্থার অভাব, ইলেকট্রনিক্স-প্রিন্ট মিয়িা বাংলাদেশের পর্যটন অঞ্চলগুলোর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন না করা, প্রচার প্রয়োজন মত না করা, পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন না করা, বেসরকারি ও সরকারি উদ্যোগের অপর্যাপ্ততা, দক্ষ গাইড এর অভাব, এছাড়া রয়েছে সামাজিক অনেক বাধা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাঁচ শতাংশ দখল করে আছে পর্যটন শিল্প। বর্তমানে বিশ্বের ১৩ কোটি বেশি লোক পর্যটন শিল্পে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। আধুনিক বিশ্বে বিশেষ করে ২টি দেশের কথা উল্লেখ করা যায়-সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো তেল সম্পদ দেশ তেলের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাচ্ছে। আর থাইল্যান্ডের জাতীয় আয় এর প্রায় ৪৭ শতাংশ আসে পর্যটন শিল্প থেকে। আমাদের এত জনশক্তি থাকতে কেন এ দেশ পারবে না? কেন বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমাদের বিদেশী দূতাবাসগুলো প্রচার কাজ চালাবে না? কেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন পর্যটন দিবসে শুধু মাত্র আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকবে? বিশ্বের দরবারে এই স্বাধীন দেশ মাথা উঁচু করে অর্থনৈতিকভাবে দাঁড়ানোর একমাত্র পথ পর্যটন শিল্প। অথচ আমাদের এই শিল্প আমাদের দেশের মানুষ ও ভ্রমণ করতে দশ বার চিন্তা করে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্যই। আমাদের দেশে একটু বিশৃঙ্খলা দেখলেই তো পর্যটক তো দূরের কথা অন্য দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলও পাঠাতে সে দেশ ভয় পায়। এই ভয়, সংশয় দূর করার জন্য আমাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাতেই হবে।
আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে দেশের দর্শনীয় স্থান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, রাঙামাটি, বান্দারবান, পাহাড়ঘেরা প্রাকৃতিক দৃশ্য সুন্দরবন, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত বাংলাদেশের পুরাকীর্তিসমূহ, সিলেটে চা বাগানসহ জাফলংয়ের জলপ্রপাত। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মাইজভাÐার দরবার, বার আউলিয়ার মাজার, মসজিদ, মন্দির, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি, সমূহের প্রামাণ্য চিত্রসহ বাংলাদেশে পর্যটন সুবিধা তুলে ধরে প্রচারণা চালাতে হবে। বিশ্বের যতগুলো দেশে বাংলাদেশ বিমানসহ আমাদের দেশের প্রাইভেট বিমানগুলো যাতায়াত করে সে সকল দেশগুলোতে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ প্যাকেজ কর্মসূচি গ্রহণ করে কার্যকরী ব্যবস্থাও পর্যটন শিল্প বিকাশে অনেক অগ্রগতি হবে। পর্যটন শিল্প বিকাশে সুষ্ঠু ও যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, পর্যটন কর্পোরেশনকে অধিকতর কার্যকরীও দক্ষ প্রতিষ্ঠানের রূপান্তর করা, বিদেশী পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে চাহিদা অনুসারে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করণ, প্রয়োজনে ফরেনজোন এলাকা গড়ে তোলা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলয় রাখা, অবকাশ যাপনের জন্য হোটেল ও মোটেলগুলোতে প্যাকেজ কর্মসূচি রাখা, হোটেলগুলোতে পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থাও গাইডের ব্যবস্থা রাখা, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক-অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, ট্রেন স্টেশন, বাস স্টেশন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোর স্থির চিত্রের প্রয়োজনীয় দৃশ্য স্থির প্রদর্শনি রাখা ইত্যাদি।
পরিশেষে অবশ্যই বলতে হয় গর্ব করে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প নিংসন্দেহে সম্ভাবনাময়। এ শিল্পের বিকাশে প্রথমেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিরসনে জাতীয় ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়া অতীব জরুরি। তবেই এ স্বাধীন দেশের পর্যটন শিল্প কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ, জাতীয় আয়, রাজস্ব আয় ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম মাইলফলক অতিক্রম করবে। ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবন, লালবাগের কেল্লা, শহীদ মিনার, চন্দিমা উদ্যান, বিভিন্ন পার্ক, নারায়ণগঞ্জের মেরিন একাডেমী, চট্টগ্রাম মাইজভাÐর দরবার শরীফসহ সকল মাজার, পানামা নগরী, গাজীপুরের একডেমিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ইকোপার্ক, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, হুমায়ুন আহমদের নুহাস পল্লী, মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন দিঘির ও মাজার, মানিকগঞ্জের ঐতিহাসিক মাজার, ও পুরাতন মসজিদ, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য মৈত্রীসেতু, গোপালগঞ্জ ঐতিহাসিক নিদর্শন শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ, ফরিদপুরের পল্লী কবি জসিম উদ্দীনের বাড়ি ও স্থান, শরীয়তপুরের জমিদার বাড়ি, সুরেশ্বর দরবার শরীফ, মাদারীপুরের হাজী শরীয়ত উল্লাহর বাড়ি, জামালপুরে পাহাড়ের পাদদেশ প্রাকৃতি সৌন্দর স্থান ও পাহাড়ের উপর পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্ক, নেত্রকোনার বিজয়পুর পাহাড়ে চিনামাটির নৈসর্গিক দৃশ্য, সাত শহীদের মাজার, রাজবাড়ীর উদ্যান বেস ও পদ্মা নদীর তীর, টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যান, মাওলানা ভাসাসীর মাজার, বিভিন্ন জমিদার বাড়ি, বঙ্গবন্ধু সেতু, যমুনা রিসোর্ট, ভারতেশ্বী হোমস, নরসিংদীর বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর, ওয়ারী বাটেশ্বর ড্রিম হলিডে পার্ক, ময়মনসিংহের জয়নুল আবেদীনে সংগ্রহশালা, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী পার্ক, চিনামাটির টিলা, তেপান্তর ফিল্ম সিটি, শমী ও গোরিপুর লজ, সুনামগঞ্জের টেকের হাটের ঘনি পাখর প্রকল্প, হাসন রাজার মিউজিয়ান, হিবগঞ্জের কলেঙ্গ অভয়ারণ্য, শাহীবাজার রাবার বাগান, মৌলভীবাজারের পৃথিম পাশার নবাব বাড়ী, বর্শি জোড়া ইকোপার্ক, মাধপকুÐ জলপ্রপাত, বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সমাধি, সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহ পরান (র.) এর মাজার, জাফলং, জৈতাপাহাড়া, ঠাকুরগাঁও এর কৃষ্ণ সাগর দিঘী, পীরগঞ্জ ফান সিটি, বলাকা উদ্যান, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা, কাজল দিঘি, নীলফামারীর নীল সাগর, ময়নামতির দুর্গ, ধর্মপালেন গড়, লাল মনিররহাট তিনবিঘা করিডোর, তিস্তা রেল সেতু, বিমান ঘাঁটি, কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, গান্ধাধর, মুঘল আমলের মসিজদের ধ্বংসাবশেষ, আরবি ভাষায় খোদিত মসজিদের শিলালিপি, গায়বান্ধার যমুনা, বন্ধনকুটির জল ভাঙ্গার জমিদার গাড়ি, দিনাজপুরের রাজবাড়ি, সুরা নয়াবাদ মসজিদ, সীলকোট বিহার রাম সাগর ও স্বপ্নপুরি, রংপুরে তিস্তা কয়তোয় লালদিঘির নয় গম্বুজ মসজিদ। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, বাগের হাটের সুন্দরবন, হিরণ পয়েন্ট, দুলবার চর, ষাটগুম্ভজ মসজিদ, মংলা বন্দর, সাতক্ষীরা সুন্দরবন দক্ষিণ তালপট্টি, নড়াইলের মধুমতি নদী, চিত্রা রিসোর্ট, বীর শ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ কমপ্লেক্স, চিত্রা রিসোর্ট, আরমিয়া ইকুপার্ক, মাগুরা জেলার গড়াই মধুমতী নদী, ভাতের ভিটা পুরাকীর্তি, কুষ্ঠিয়া জেলার পদ্মানদী ফকির লালন শাহ মাজার, মীর মোশাররফ হোসেন বসত ভিটা, বগুড়া জেলা মহস্থানগর বাড়ি, ওয়ান্ডার ল্যান্ড, চাপাইনবাবগঞ্জের বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন সমাধি, গৌড়ের বিখ্যাত ছোট সোনা মসজিদ, বঙ্গবন্ধু সেতু, নৌবন্দর শালবন বিহার, আনন্দ বিহার, ময়নামতি প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন, যুদ্ধ সমাধি ও বোটানিকাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানা, ধর্ম সাগর দিঘি, লালমায় ও ময়নামতি পাহাড়, বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামালের সমাধি, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খার বসতবাড়ি, খাগড়াছড়ির আলুটিলা পাহাড়ের রহস্যময় সুড়ঙ্গ, রিছাং ঝর্না, রামগড় লেক, রাঙ্গামাটির কর্ণফুলী হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, সুবলং ঝর্না, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, চন্দ্রঘোনা কাগজকল, বান্দরবান জেলার মহানন্দ নদী, মেঘনা পর্যটন, চিম্বুক, শৈল প্রপাত, বগা লেক, প্রান্তিক লেক, কেউকেডাডং মিরিঞ্জা নীলাচল পর্যটন, ঋজুক জলপ্রপাত, চট্টগ্রামের ফয়’স লেক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, বার আউলিয়া মাজারসমূহ ওয়ার সিমেট্টি চন্দনাথ পাহাড়, বাশখালী ইকোপার্ক পারকি বীচ, কর্ণফুলী নদী, মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র, হালদা নদী, জাতিতাত্তি¡ক জাদুঘর, শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রথম মাজার ও শিশুপার্ক, জাতিতাত্তি¡ক জাদুঘর এবং কক্সবাজার জেলার পৃথিবীর দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, মাতামুহরী নদী, রেজুখাল, নাফনদী, হিমছড়ি, সোনাদিয়া দ্বীপ, ইনানী, সেন্টমার্টিন, সাফারী পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দির, পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, হযরত আবদুল মালেক (র.) মাজার। উল্লেখিত বিষয়গুলোকে নজরে রেখে বাংলাদেশের সামগ্রীক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে জনমত সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পকে দ্রæত সময়ের মাধ্যমে বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জরুরি।
লেখক : চেয়ারম্যান, পর্যটন শিল্প উন্নয়ন ফোরাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটি




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *