হিমালয় ডেস্কঃ বিমান ও বিমান বন্দর একটি দেশের ড্রয়িং রুম ও গেটওয়ে, তাই এ দুটোকে দৃষ্টিনন্দন ও পরিপাটি করে তুলতে এবং বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বলেছেন, নবনিযুক্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রায় এক কোটি প্রবাসী জাতীয় পতাকাবাহী বিমানে যাতায়ত করতে চায়, বিমান কর্তৃপক্ষকে তাদের স্বাচ্ছন্দ্যে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিদেশমুখী পর্যটকদের দেশমুখী করতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী ৮ জানুয়ারি দুপুরে সচিবালয়ে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিমান ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক।এর আগে ৭ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করে প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে আসলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. নাইম হাসান, অতিরিক্ত সচিব মো.ইমরান, মিজানুর রহমান, মোকাব্বির হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আখতারুজজামান খান কবির, বিটিবির সিইও জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ বিমানের এমডি এম মোসাদ্দিক আহমেদ, হিলের এমডি আলমগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বুনিয়াদী আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারেই বেড়ে ওঠা তার। বাবা মাওলানা আসাদ আলী এ আসন থেকেই ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি। অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান ও সজ্জন নেতা হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল সর্বত্রই। আপামর সাধারণ মানুষের মাঝেও তিনি ছিলেন পরম শ্রদ্ধার পাত্র। গণমানুষের নেতা মাওলানা আসাদ আলীর ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের মাঝে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী চতুর্থ। তিনিও বাবার মতোই সততা ও নিষ্ঠায় অতি অল্পদিনেই সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। স্থানীয় আন্দিউড়া উম্মেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।এরপর ১৯৭৯ সালে তিনি ঢাকা বারের সদস্য পদ লাভ করেন। একইসঙ্গে তিনি সেখানে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। অতি অল্প দিনেই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেন। দলের হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকেই বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ফলে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই তাকে সহকারী এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়। ১৯৯৮ সালে তিনি এ পদ ছেড়ে দেন। ২০০৩-২০০৪ মেয়াদে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তিজীবনে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী দুই মেয়ের জনক। বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। আর ছোট মেয়ে আইন বিষয়ের একজন মেধাবী ছাত্রী।