হিমালয় অর্থনৈতিক ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরেই এদেশে রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন পাচ্ছে। সম্প্রতি চার ব্যাংক অনুমোদনের ক্ষেত্রে সুপারিশ করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। এসব ব্যাংকের অনুমোদনে অর্থমন্ত্রী খুশি নন বলেও জানান। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ব্যাংকগুলোকে একীভূতকরণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, যদি অন্য কেউ ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাদের জন্য ব্যাংক সংস্কারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়ে যাবো। দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি।
সম্প্রতি সচিবালয়ে নিজ দফতরে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, এরপরও রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন দিতে হচ্ছে। সম্প্রতি চার ব্যাংক অনুমোদনের ক্ষেত্রে সুপারিশ করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। এসব ব্যাংকের অনুমোদনে অর্থমন্ত্রী খুশি নন বলেও জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এভাবে ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ায় আমি খুবই অখুশী। এসব ব্যাংককে শিগগিরই মার্জার (এককীভূত করা) শুরু হবে। পলিটিক্যাল গ্রাউন্ডে এসব ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক মিনিস্টারই ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সংখ্যা বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলো একীভূত করা হবে। এজন্য আইন ঠিকঠাক করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সমালোচনা উপেক্ষা করে গত ২৯ অক্টোবর গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সভায় নতুন চার ব্যাংক অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এদের মধ্যে পুলিশ বাহিনীর জন্য কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশকে অনুমোদন দিয়ে অন্য তিন ব্যাংক দ্য বেঙ্গল ব্যাংক, পিপলস ব্যাংক এবং দ্য সিটিজেন ব্যাংককে কাগজপত্র ঠিক করার শর্তে অনুমোদন দেয়। বৈঠকে ইআরএফ’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।