আগ্রাসনবাদীরা দুর্বল গণতন্ত্রের কারণেই দিবাস্বপ্ন দেখছে-মুসলিম লীগ
মিয়ানমারের একটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে তাদের অংশ হিসাবে দেখানোর তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। গতকাল দলের সভাপতি এ্যাড.বদরুদ্দোজা সুজা ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত বিষয়টি দায়সারা দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে এড়িয়ে গেলেও জাতি মনে করে এটা ইচ্ছাকৃত ভুল নয়। আগ্রাসনবাদীরা ধরেই নিয়েছে আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবাদে বাংলাদেশী জাতি আজ বহুধা-বিভক্ত, দেশের গণতন্ত্র দুর্বল; আগ্রাসনের মোক্ষম সময়। তাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমরা মাত্র ৯মাসের মধ্যেই আমাদের মাতৃভূমি স্বাধীন করেছি, আভ্যন্তরীণ ও রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও জাতীয় যে কোন ইস্যুতে বাংলাদেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতী ছিল এবং থাকবে। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ইতিপূর্বে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার ‘বাংলাদেশে দিল্লীর শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে’ এরকম দাম্ভিকতাপূর্ন মন্তব্যের বিপরীতে আমাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন প্রতিবাদ না আসাতে মিয়ানমার এরকম ঔদ্ধত্য দেখানোর দুঃসাহস পেয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানানোকে স্বাগত জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন,রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু সমাধানের পথে না হেটে বরং মিয়ানমার কর্তৃক মানচিত্রের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপ তাদের অংশ দাবী,ভারত কর্তৃক আসামের ৪০লক্ষ মুসলমানকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি, বাংলাদেশে দিল্লীর শাসন প্রতিষ্ঠার হুমকি, সব এক সুতোয় বাধা -আধিপত্যবাদীরা দুর্বল গণতন্ত্রের সুযোগ নিতে চাইছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করে গণতন্ত্র ও জাতিয় ঐক্যে যে ফাঁক-ফোঁকর সৃষ্টি হয়েছে তা দ্রুত মেরামত করুন, নাহয় এসব ফোঁকর দিয়ে আগ্রাসন-বাদী হায়েনারা উঁকিঝুঁকি মারতেই থাকবে। ভোটার বিহীন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে অগ্রহণযোগ্যতা, গণতন্ত্রকে দুর্বল করেছে আর এই দুর্বলতাই আগ্রাসনবাদীদের দিবাস্বপ্ন দেখাচ্ছে।