উচ্চমানের শৌখিন মোটরসাইকেল রফতানি করতে যাচ্ছে রানার অটোমোবাইলস। নেপালের পর এবার প্রতিষ্ঠানটির নজর এখন ভুটান, মিয়ানমার, ভারতের সাতটি রাজ্য (সেভন সিস্টার), আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ উচ্চপ্রযুক্তির মোটরসাইকেল রফতানি করতে যাচ্ছে দেশীয় এ কোম্পানিটি।
এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১৬৫ থেকে ৫০০ সিসি মোটরসাইকেল রফতানির জন্য কাঁচামাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে রানার অটোমোবাইলস।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৩০ আগস্ট রানার অটোমোবাইলসকে রফতানির উদ্দেশ্যে ১৬৫ থেকে ৫০০ সিসি মোটরসাইকেল উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল এবং উপাদান আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়া হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে আপাতত মোটরসাইকেল, আমদানি পার্টস বিক্রি না করা এবং এটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার শর্তে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুছ সামাদ আল আজাদ স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্রটি রানার গ্রুপের কাছে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘এখন আমরা হাই অ্যান্ড মোটরসাইকেলের বাজারে প্রবেশ করব। আর এর মধ্যে দিয়ে মেড ইন বাংলাদেশ খ্যাত রানার মোটরসাইকেল ছড়িয়ে পড়বে এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শৌখিন বাইকারদের কাছে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলের চাহিদা বাড়ছে উল্লেখ করে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিবছর ২ কোটি ইউনিট উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল বাজার ধরতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এরই মধ্যে ভালুকায় আমাদের কারখানায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছি। বাজার গবেষণা, উদ্ভাবন, মান নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। এখন কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানির পর শিগগিরই ১৬৫ থেকে ৫০০ সিসির মোটরসাইকেল আমরা দেশেই বানাতে সক্ষম হব এবং তা রফতানি করব। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা ২০০ থেকে ২৫০ সিসিতে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।’